ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চুক্তির বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
যুদ্ধবিরতির সময়কাল এবং কার্যকারিতা
- যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে ১৯ জানুয়ারি ২০২৫।
- এর আগে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে তীব্র লড়াই চলছিল।
চুক্তির শর্তাবলি
-
জিম্মি ও বন্দি মুক্তি
- হামাস: তিনজন ইসরায়েলি নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
- ইসরায়েল: প্রায় ৯৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
- মুক্তি প্রক্রিয়ায় দেরি হয়েছিল, কারণ হামাস তালিকা দিতে দেরি করে।
-
ত্রাণ সরবরাহ
- প্রতিদিন ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।
- এর মধ্যে ৫০টি ট্রাকে থাকবে জ্বালানি, এবং ৩০০টি ট্রাক যাবে উত্তর গাজায়।
-
ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার
- ইসরায়েলি বাহিনী ধীরে ধীরে গাজার কেন্দ্র থেকে সরে যাচ্ছে।
- বিশেষ করে উত্তর গাজায়, যেখানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফিরে আসার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
-
মানবিক সহায়তা
- যুদ্ধবিরতির সময় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পাবে।
- পানি, খাদ্য, ওষুধ, এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পূর্ববর্তী পরিস্থিতি
- ১৫ মাস ধরে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত চলছিল, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
- গাজার অনেক এলাকায় অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- এই চুক্তি বাস্তবায়নে মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
- জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
যদিও এই যুদ্ধবিরতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ তৈরি করবে কিনা, তা ভবিষ্যতেই বোঝা যাবে।
0 Comments