শিশু আছিয়াকে বাঁচানো গেল না।

 

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সের শিশু আছিয়া খাতুনকে আর বাঁচানো যায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) অভিজ্ঞ ডাক্তারদের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এই শিশুটি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দুপুরের এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।।




এই পোষ্টে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় (আছিয়া) নির্যাতনের শিকার শিশুটি আজ (১৩/০৩/২০২৫) দুপুর ১ টায় রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। (ইন্নালিল্লাহি.ওয়াইন্না ইলাইহি.রাজিউন)।ঢাকার সিএমএইচের সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ করে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাথাকা সত্ত্বেও আছিয়াকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির (আছিয়া) আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। ২বার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর কোন ভাবেই হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।

শিশুটির (আছিয়া) বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।  

এর আগে রোজ বৃহস্পতিবার মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বাসিন্দা শিশু আছিয়া মাগুরা জেলা শহরে তার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তার আত্মীয়ের দ্বাড়া ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর এদিন সকাল অনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরা জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোন ও তার শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে আসেন। সেদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই আছিয়াকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর বিগত শুক্রবার রাতে অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।আরো অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (পিআইসিইউ) থেকে তাকে  রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে   রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(পিআইসিইউতে) তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের দুলাভাই,দেবর, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি,কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


Post a Comment

0 Comments