হাসিনার বিচার করতে না পারলে মানুষ আমাদের কে কখনো ক্ষমা করবে না: ড. মোহাম্মদ ইউনূস

 

ক্ষমতাচ্যুত শেখ গনহত্যাকারী হাসিনার বিচার করতে না পারলে দেশের মানুষ  আমাদের ক্ষমা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ড. মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (মন্ত্রী,এমপিদের) বিচারের আওতায় আনা হবে।’

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের এক সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য দুবাই সফরে থাকা প্রধান উপদেষ্টা গত কাল বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা তিনি বলেন।

ড. মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শাস্তি এড়ানোর কোন সুযোগ দেওয়া হবে না। সাবেক কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী এবং তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের খুজে খুঁজে বের করে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তাদেরকে আইনের মুখোমুখি দাড় করিয়ে বিচার করা হবে।।

গত ৫ আগস্ট 2024 ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান  উপদেষ্টা  হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নোবেলজয়ী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গণঅভ্যুত্থানে পতনের আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার  অভ্যুত্থানে আনুমানিক ১ হাজার ৪০০ জনের মতো ছাত্র-জনতা মারা যান বা হত্যা করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, খুনি হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে আমরা ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন , তার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অনেক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এছাড়াও জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের টিম থেকেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানেও খুনি হাসিনা বিভিন্ন অপরাধের তথ্য রয়েছে।।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন খুনি শেখ হাসিনা যা যা করেছে তা আমাদের জন্য একটি বড় প্রমাণ। শেখ হাসিনা ও তার আমলের সব অপরাধ সমুহের তথ্য নথিভুক্ত করেছে জাতিসংঘ।

ড. মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, খুনি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে তাকে বিচারের মুখোমুখি করে তার প্রাপ্য শাস্তি দেওয়া হবে।। আর এটা আমরা না করলে বাংলাদেশের জনগণ আমাদেরকে কখনো (অন্তর্বর্তী সরকার) ক্ষমা করবে না। ড. মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, ইতিমধ্যে আমরা আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আর এটি অব্যাহত থাকবে। তাকে (শেখ হাসিনা) আমরা অবশ্যই আইনের আওতায় আনবো। আর এটা হতেই হবে।