টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ জঙ্গির কারখানা: সাবেক সন্ত্রাসী নেতা ফজলুর রহমান

 



টঙ্গির ইজতেমার মাঠকে জঙ্গি বানানোর কারখানা বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা ও তিনি এক সময় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই ধুলা উনার গায়ে এখনও আছে। এবং এখন তিনি  বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। সম্প্রতি, বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন সাবেক এই সন্ত্রাসী নেতা।।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ২৪ শে মার্চ চইলা গেল, ১৬ ই ডিসেম্বর চইলা গেল, একটা গানও শুনলাম না, বিজয়ের।তিনি আরও বলেন ‘সবকটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ওরা আসবে’। ২১ শে ফেব্রুয়ারি চইলা গেল, এক দিনের জন্যেও আমার কানে কিন্তু বাজল না, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’— বরং একুশে ফেব্রুয়ারির মেলাটারে তারা বানাই ফেলল ইজতেমার মাঠ। একটা জঙ্গি বানানোর কারখানা।

সাবেক এই সন্ত্রাসী নেতা ফজলুর রহমানের এই মন্তব্য ইতোমধ্যে আমাদের দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সব ধরনের নেটিজেনরা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।। অনেকে আলোচনা-পর্যালোচনা করে সমালোচনা করছেন।

অনেকেই বলছেন, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নেতা কর্মীরা গন হত্যা করে পালিয়ে গেছেন। তাদের হয়ে বিএনপির এই সাবেক এই সন্ত্রাসী নেতা বিভিন্ন সময় আবোল-তাবোল মন্তব্য করছেন।। এমন একটা লোক বিএনপির মতো একটা রাজনৈতিক দলে কীভাবে থাকে।।

সাবেক সন্ত্রাসী নেতা ফজলুর রহমান


উল্লখ্য যে, ফজলুর রহমান হলেন একজন আইনজীবী। প্রথমে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জ জেলার মুজিব বাহিনীর প্রধান হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।  তাছাড়া এক সময় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাবেক সন্ত্রাসী নেতা ফজলুর রহমান ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গন হত্যাকারী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সম্মিলিত বিরোধী দলের হয়ে তৎকালীন সময়ে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলার-৩ নং আসন থেকে, ১২ জুন ১৯৯৬ সালে সপ্তম মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলার-৫ নং আসন থেকে। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধার মহান অধিনায়ক,কাদরীয়া বাহিনীর প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে পরাজিত হন।

সাবেক সন্ত্রাসী নেতা ফজলুর রহমান এক সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তারপর তিনি চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পি এন পিতে যোগদান করে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হিসাবে এবং দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হয়েছেন।।

Post a Comment

0 Comments