স্ত্রীর সাথে সহবাস (যৌনমিলন) করার সময় বা মেয়াদকাল নির্দিষ্ট কোনো নিয়মে বাঁধা নয়, এবং সাধারণভাবে কোনো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সহবাস করলে “ক্ষতি হয়” — এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত:
💡 স্বাভাবিক সহবাসের সময়:
গবেষণায় দেখা গেছে, পেনিট্রেশনের (যোনিপথে লিঙ্গ প্রবেশের) পর থেকে শুরু করে ইজাকুলেশন (বীর্যপাত) পর্যন্ত গড় সময় সাধারণত ৫–৭ মিনিট হয়। তবে এই সময় ব্যক্তিভেদে কম বা বেশি হতে পারে এবং এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
🩺 স্বাস্থ্যগত দিক থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
-
শরীরের ক্লান্তি: অতিরিক্ত বা খুব দীর্ঘ সময় ধরে সহবাস করলে শারীরিক ক্লান্তি বা পেশির ব্যথা হতে পারে, বিশেষত যদি কেউ দুর্বল হন বা পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেন।
-
জল শূন্যতা: ঘাম বা পরিশ্রমের কারণে শরীরের জলীয় অংশ কমে যেতে পারে। তাই পানি পান করা জরুরি।
-
যোনিপথে ক্ষতি: যদি দীর্ঘ সময় বা খুব রুক্ষভাবে সহবাস করা হয়, তাহলে নারীর যোনিপথে জ্বালা বা আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে। লুব্রিকেশন বা সাবধানতা জরুরি।
-
মনস্তাত্ত্বিক দিক: যদি এক বা দুই পক্ষ মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকেন বা চাপ অনুভব করেন, তাহলে মানসিক অস্বস্তি বা সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
✅ সুস্থ সহবাসের জন্য পরামর্শ:
-
উভয় পক্ষের সম্মতি ও মানসিক প্রস্তুতি থাকা উচিত।
-
দীর্ঘ সময়ের চেয়ে পরিপূর্ণ পারস্পরিক তৃপ্তিই গুরুত্বপূর্ণ।
-
সহবাসের পরে বিশ্রাম, পানি পান এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ভালো।
তুমি চাইলে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকেও সহবাসের সীমা ও আদব সম্পর্কে জানতে পারো — আমি সেটাও ব্যাখ্যা করতে পারি।
সংক্ষেপে: সময় নয়, সহবাসের গুণগত মান ও স্বস্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক অস্বস্তি হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
0 Comments